অনলাইনে গ্রাফিকস সম্পর্কিত কাজের চাহিদা ধীরে ধীরে অনেক বেড়ে যাচ্ছে, সেজন্য আমাদের অনেকের মাঝে গ্রাফিকস শিখার আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে। গ্রাফিকসের কাজের সাথে খুব বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিশেষ করে ইংরেজী জানার খুব বেশি বাধ্যবাধকতা না থাকার কারনে অনেকেই এখন আউটসোর্সিংয়ের কাজে এসইওর চাইতে গ্রাফিকসের কাজে বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
জেনে নেয়া যাক, অনলাইনে গ্রাফিকস সম্পর্কিত কি কি কাজ পাওয়া যায়ঃ
১। ওয়েবসাইট পিএসডি টেম্প্লেট ডিজাইন
২। ওয়েব ব্যানার ডিজাইন
৩। লোগো ডিজাইন
৪। ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন
৫। ডিজিটাল ইমেজ প্রসেসিং
৬। টি-শার্ট ডিজাইন
৭। পোস্ট কার্ড ডিজাইন
৮। ব্রুশিয়ার ডিজাইন
৯। মোবাইল অ্যাপ ডিজাইন
১০। আইকোন ডিজাইন
১১। বিজ্ঞাপন ডিজাইন
১২। বুক কভার ডিজাইন
গ্রাফিকস ডিজাইন শিখার জন্য কোন কোন অ্যাপ্লিকেশন শিখবেন?
অ্যাডোব ফটোশপ, অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর, অ্যাডোব ইনডিজাইন, অ্যাডোব ফায়ারওয়ার্কস
গ্রাফিকস সম্পর্কিত আউটসোর্সিং কাজের ওয়েবসাইটঃ
গ্রাফিকস প্রতিযোগীতাঃ 99designs.com, freelancer.com/contest/
ডিজাইন বিক্রিঃ graphicriver.net, freelancer.com/marketplace
বিড করে কাজ পাওয়াঃ odesk.com, freelancer.com, elance.com, guru.com
অন্যান্যঃ fiverr.com, peopleperhour.com
তাছাড়াও আরও অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে গ্রাফিকস সম্পর্কিত কাজ করা যায়। কারও এগুলোর বাইরে কোন ওয়েবসাইটের নাম জানা থাকলে কমেন্ট বক্সে সেটি শেয়ার করতে পারেন।
এবার জেনে নেয়া যাক, কারা গ্রাফিকস ডিজাইনারদের খোজ করে?
১) ডিজিটাল ফটোগ্রাফার
২) গ্রাফিকস ডিজাইন হাউজ
৩) প্রিন্টিং হাউজ
৪) অনলাইন রিটেইলার
৫) ইকমার্স
৬) ম্যাগাজিন/ পত্রিকা কোম্পানী
৭) ক্যাটালগ কোম্পানী
৮) ফটো স্টুডিও
৯) শোবিজ/ ফ্যাশন হাউজ
১০) ওয়েব ডেভেলপার
১১) বিজ্ঞাপনী সংস্থা
গ্রাফিকস ডিজাইন শিখবেন কিভাবে?
ধাপঃ ১
অনলাইনে বিভিন্ন টিউটোরিয়ালগুলো খুজে বের করুন, সেগুলো পড়ুন কিংবা ভিডিও হলে দেখুন। প্রযুক্তি টিম সাইটে প্রায় ১৫০+ ফ্রি ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে চাইলে সেগুলো দেখতে পারেন। এছাড়া টিউটোরিয়াল ডিভিডিতো রয়েছেই।
দেখে দেখে ৫টি প্রজেক্ট করুন এবং আপনার দক্ষতাকে আরও বৃদ্ধি করতে পারেন।
ধাপঃ ২
অনেক কিছু শিখতে হবে। যদি আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু জ্ঞান থেকে থাকে, তাহলে ইতিমধ্যে হয়ত অনেক কিছুই আপনার জানা আছে।
কি কি শিখতে হবে, তার কিছু এখানে উল্লেখ করছি।
– স্ক্যালিং: আপনার ইচ্ছেমত ছবিকে বড় এবং ছোট করা জানতে হবে।
– নির্দিষ্ট এলাকাকে কালার, টেক্সচার দিয়ে ফিল আপ করা শিখতে হবে।
– ছবির কালার এবং অন্য ধরনের কিছু পরিবর্তন করা শিখুন।
– বিভিন্ন কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটে ছবিকে সংরক্ষণ করুন।
– ছবির একটি নির্দিষ্ট অংশকে ডিলিট করা কিংবা ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা শিখুন।
– ছবিকে ক্রপ (crop) করা, আউটলাইন, এডজ ডিটেকশন করুন।
– কপি ও পেস্ট, ড্র্যাগ ও ড্রপ, ডুপলিকেট করা শিখুন।
– ছবিকে ফ্লিপ (Flip) করা, বিভিন্ন অ্যাংগেলে রোটেট করা (rotate) করা
– মুভ (move), নাডজ (Nudge) এর বিষয় জানতে হবে।
– নতুন লেয়ার তৈরি এবং লেয়ারের বিভিন্ন ইফেক্ট জানা থাকতে হবে।
– প্রয়োজন অনুযায়ি কালার ব্যবহার করা জানা জরুরী
– গ্রে স্ক্যাল (gray scale) কিংবা ছবিকে সাদাকালো কিংবা ছবিকে নেগেটিভ করা জানতে হবে।
– টেক্সচার, শ্যাডো এবং অন্যান্য স্পেশাল ইফেক্ট (পোস্টারাইজ (Posterize), পিক্সেলাইজ (Pixelize), অ্যামবুস( Emboss), ব্লার (Blur), শার্পেন ৯ Sharpen) ইত্যাদি ব্যাপারে জানা থাকতে হবে।
– বর্ডার (Borders) তৈরি, স্ক্যাল ব্যবহার।
– ব্যাকগ্রাউন্ড (Background), ফরগ্রাউন্ড (foreground) সম্পর্কে ধারণা
– আইকন এবং লোগো তৈরি
– পেজ লেআউট তৈরি, কলাম তৈরি করা শিখতে হবে।
– লেখার সাইজ পরিবর্তন, বোল্ড, ইটালিক ইত্যাদি করা জানতে হবে।
ধাপঃ৩
নিজের ব্যক্তিগত কিংবা আশেপাশের অন্যদের প্রফেশনাল কাজগুলো ফ্রি করে দিন। অনেকগুলো রিয়েল প্রজেক্ট করলে মোটামুটি কনফিডেন্ট তৈরি হবে।
ধাপঃ৪
ধাপঃ২ এবং ধাপঃ ৩ এর পর আপনি মোটমুটি কাজ শিখে গেছেন। এবার আপনাকে কনটেস্টে অংশগ্রহন করতে হবে। যদিও কনটেস্টে জয় লাভ করা কষ্টকর। কিন্তু আপনি শুধু জেতার জন্য কনটেস্টে অংশগ্রহণ করবেননা। প্রতিযোগিতার বাজার দেখে নিজেকে আরও দক্ষ করা এবং নিজের দক্ষতাকে সবার সামনে প্রকাশ করার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন কনটেস্টে অংশগ্রহণ করুন।
ধাপঃ৫
আপনার করা ডিজাইনকে অনলাইনে বিভিন্ন সাইটে (flickr.com, pinterest.com) কিংবা নিজের তৈরি করা ব্লগের মাধ্যমে মানুষের কাছে প্রকাশ করুন।
আপনি যদি এভাবে না শিখতে পারেন, তাদের জন্য বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক মানসম্মত ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে, সেগুলোতেও ভর্তি হতে পারেন।
Jodi karo design dorkar pare nicher number and e-mail address a jogajog korun.
01742 526 905
dulal.nr@gmail.com
Thanks
DVD dekhe ki graphics possible? r shikhte koto mash lagbe?
হ্যা সম্ভব। আমাদের প্রযুক্তি টিম পেজে রিভিউ চেক করে দেখতে পারেন। অনেকেই আয় করছে। কতদিন লাগবে এটা আপনার উপর নির্ভর করবে। মিনিমাম ২-৩ মাস ভাল মত সময় দিলে শেখা সম্ভব।