লোগো ডিজাইন করার জন্য কিছু প্রফেশনাল টিপস (পর্ব-০১)

Published on:

লোগো ডিজাইন করার জন্য কিছু প্রফেশনাল টিপস  (পর্ব-০১)
লোগো। এক শব্দে একটি কোম্পানী, দেশ, জাতি বা ব্যাক্তিত্ব সহ অনেক কিছুই প্রকাশ করতে সক্ষম। আমাদের চারিদিকেই লোগো দিয়ে ভর্তি।  যে সিম্বল দেখলেই যদি চোখের সামনে কোম্পানীর চেহারা ভেষে উঠে সেটাই হচ্ছে লোগো। একজন সাধারণ মানুষের চোখে লোগো মানে কোম্পানী বা প্রডাক্ট, একজন ক্লায়েন্টের কাছে তার নিজের কোম্পানীর ব্র্যান্ড যার উপর ভিত্তি করে দাঁড়াবে সেটাই হচ্ছে লোগো এবং একজন ডিজাইনারের কাছে লোগো মানে ক্লায়েন্টের ভাবাদর্শ মাত্র একটি গ্রাফিক দিয়ে প্রকাশ করা।
আমাদের জীবনে লোগো প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে। এই যুগে সবারই নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে প্রয়োজন লোগো, কোম্পানীর সার্ভিস প্রকাশের জন্যেও লাগবে লোগো অর্থাৎ সকল ক্ষেত্রেই রয়েছে লোগোর চাহিদা। লোগো দেখতে অনেক সিম্পল মনে হলেও ডিজাইন করার সময় অনেক দিকেই লক্ষ্য রাখতে হয়।
প্রযুক্তিটিমের লোগো ডিজাইন টিউটোরিয়াল ডিভিডি দেখুন এখানে।

লোগো ডিজাইনের পূর্বপ্রস্ততিঃ

অডিয়েন্স সম্পর্কে গবেষণা

(লোগো দেখতে শুধুই সুন্দর হলে হবে না; ব্রান্ডের ম্যাসেজও প্রকাশ করতে হবে)

আপনি যখন লোগো ডিজাইন করবেন তার মানে এমন নয় দেখতে সুন্দর এমন একটি লোগো বানাবেন। আপনার কাজ হচ্ছে আপনি একটি ব্রান্ডের ম্যাসেজ সবার সামনে একটি গ্রাফিক সিম্বল দিয়ে প্রকাশ করবেন। আর তাই আপনি লোগো ডিজাইন করার পূর্বে এই ব্রান্ডের অডিয়েন্স কারা হবে সেই অনু্যায়ী রিসার্চ করবেন। এই বিষয়গুলো ক্লায়েন্টের কাছে শুরুতেই ভাল মত জেনে নিন। আপনার কাছে যেটা সেরা, সেটা তার কাছে নাও হতে পারে। দেশ, জাতি, বর্ণভেদে লোগোর ডিজাইনও পরিবর্তন হবে। যেমন আমাদের দেশে লাল সবুজ অনেক জনপ্রিয় রঙ। তার মানে এই নয় এই রঙ পশ্চিমা বিশ্বেও জনপ্রিয়। তাদেরও নিজস্ব কিছু জনপ্রিয় বিষয় রয়েছে যা আপনি ডিজাইন শুরু করার পূর্বে গবেষণা করে জেনে নিবেন।

ব্রান্ডের ভিতরে নিজেকে মগ্ন করুন

লোগো ডিজানের স্কেচ শুরু করার আগেই ক্লায়েন্টের ব্রান্ডের পিছনে কিছু সময় ব্যয় করুন। ক্লায়েন্ট কোন দেশের নাগরিক? তারা কি করে? তাদের মতাদর্শইবা কেমন।

ক্লায়েন্ট যদি পূর্বে কোন লোগো ডিজাইন করিয়ে থাকে তাহলে সেগুলোও আগে দেখে নিন। কি ধরণের লোগো ক্লায়েন্ট রিজেক্ট করেছে, কেন করেছে বা কি ধরণের লোগো পূর্বে ক্লায়েন্ট সিলেক্ট করেছে এই সব কিছুই আপনি জেনে নিন আপনার ডিজাইন শুরু করার পূর্বেই। ক্লায়েন্টের রুচিবোধ সম্পর্কে তাহলে আপনার অনেকটা ধারণা চলে আসবে এবং খুব দ্রুতই কাংখিত লোগো ডিজাইনে পৌছতে পারবেন।

আপনার করা সকল স্কেচগুলোই জমা রাখুন

                                         (পুরাতন স্কেচ হতে পারে অনুপ্রাণিত হওয়ার নতুন উৎস)

আপনার করা প্রতিটি লোগো ডিজাইনের পূর্বে হয়তো ডজন ডজন স্কেচ করতে হয়েছে যেখান থেকে একটি স্কেচ নিয়ে ফাইনালি কাজ করা হয়েছে। তার মানে এই নয় অন্য স্কেচগুলো ফেলে দিবেন; আপনার এই আইডিয়াগুলোই পরবর্তিতে অনেক মূল্যবান রত্নে রুপান্তরিত হবে।

আপনার করা পূর্বের স্কেচ একজন ক্লায়েন্টের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়নি বলে মনে করবেন না যে, অন্য ক্লায়েন্ট এটা গ্রহন করবে না। আপনার পূর্বের এই স্কেচগুলোকে চারা গাছের মত আরেকটু যত্ন করে হয়তো তৈরি করে ফেলতে পারবেন আপনার কাংখিত লোগো।

ড্রয়িং করা শিখতে চাইলে দেখুন এই পোস্ট।

 

( চলবে…..)

 

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।

Other Blog
Related Posts

Author

হাসান যোবায়ের

Joined 11 years ago

📬 Let's keep in touch

Join our mailing list for the latest updates

Resend verification link

Something went wrong!
Please try again.

Please enter your name.

Please enter a valid email address.