এই গেস্ট পোস্ট লিখেছেনঃ Moinuddin Mondal
সিল্ভার বাটন, গোল্ড বাটন, ডায়মন্ড বাটন এই নামগুলো হয়ত শুনে থাকবেন। দেশের অনেক নতুন ইউটিউবারের কাছে এগুলো প্রায় একরকম স্বপ্নই বলা যায়। হ্যা, youtube এমনই একটি প্লাটফর্ম যেখানে ভিডিও আপলোড করে আপনিও হতে পারবেন একজন পাবলিগ ফিগার। অনেক ব্লগার ভাই YouTube নিয়ে আগ্রহ এবং ভিডিও মেকিং টিপস দিচ্ছেন তাদের কমিউনিটিতে। নিচে সংক্ষিপ্তভাবে শুধু ভিডিও মেকিং নিয়ে আমার মতামত তুলে ধরলাম।
১) ভিডিও শুট করা
২) অডিও রেকর্ড করা
৩) মাইক্রোফোন
৪) লাইটিং কীট / ট্রাইপড
৬) ফাইনাল কাট প্রো / এডোবি প্রিমিয়ার প্রো / ফিল্মমোরা
প্রথমেই আসা যাক ভিডিও করার বিষয়টা। আমরা কমবেশি সবাই সেলফিতে আসক্ত। সুতরাং টেবিলে ট্রাইপড রেখে একটু এদিক-সেদিক এডজাস্ট করে ভিডিও যেকেউ শুট করতে পারবে। বিগিনারদের জন্য মোবাইল ভিডিও ধারণ করাটা সহজ। এবার যদি বলা হয় ১০ এফপিএস স্পীড, 4K ভিডিও কোয়ালিটি, নয়েজ ফ্রী অডিও হতে হবে আর তাঁর সাথে থাকবে কিছু ইফেক্ট যেমন জুম করা, টেক্সট মার্কিং ভিডিওর নীচে দেখানো, ক্যাপশন ইত্যাদি ইত্যাদি। তাহলে? আর এখানেই youtube এডভান্স লেভেলটা চলে আসে। এদেশের সফল ইউটিউবাররা মোবাইল দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করতে করতে এভাবেই নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন এবং ভিডিও এডিটিং শিখতে বাধ্য হয়েছেন। সাদমান সাদিকের কমেন্ট শুনুন, ‘মোবাইল দিয়ে লো রেজুলেশণে শুট করতাম তাই স্পট পড়লে বা কোন সমস্যা দেখা দিলে সেটা আবার শুট না করে black & white কনভার্ট করে দিতাম। ’ তো সাদমান সাদিকের মতন অনেক ইউটিউবার এখন সফল এবং একবার হলেও ভিউ করেছেন এমন দর্শক সংখ্যা প্রায় ১ লাখ++। ইউটিউবের ব্যাপারটা থেকে এবার সড়ে আসি। তো আপনি মোবাইলে শুট করলেন সেটা হতে পারে গরিবের ফোন সিম্ফনী অথবা iPhone কপি। তারপর সেটা আপলোড দিলেন ইউটিউবে। হাজার হাজার দর্শক দেখছে আপনি সমুদ্রে সৈকতে ভ্রমণ করতেছেন এবং ভাল কিছু সময় ব্যয় করে বর্ণনা দিচ্ছেন কিভাবে আসতে হবে, কোথায় থাকলে ভাল হয় ইত্যাদি। দেখার সাথে সাথে প্রচুর কমেন্ট পোস্ট হতে থাকলো আপনার চ্যানেলে। অনেকের মনে অনেক জিজ্ঞাসা। একমাস পড়েই দেখলেন আপনার ট্রাভেল ব্লগের সাবস্ক্রাইবার প্রায় ৫০০০ ছাড়িয়ে গেছে। এবার আপনি নিজেই তোড়জোড় শুরু করবেন কিভাবে আরো ভাল মানের ভিডিও শুট করা যায়, ক্যামেরার এঙ্গেল কিভাবে পজিশনিং করা যায়, কিভাবে চ্যানেলের ভিউয়ার বাড়ানো যায়। ভিডিও মেকিং সংক্রান্ত বিস্তারিত লিংক নিচে দেওয়া হয়েছে।
ভিডিও যদি শুট করা হয়ে থাকে তাহলে তো এবার প্লে করে দেখতে হয় রেকর্ডটা কেমন হয়েছে। কিন্তু সবার জন্য অভিজ্ঞতাটা ভাল নাও হতে পারে। সাধারণত মোবাইলে অডিও রেকর্ড যায়। নয়েজ ফ্রি সাউন্ড কোয়ালিটির বিভিন্ন দামের মাইক্রোফোন বাজারে পাওয়া যায়। অডিও /মাইক্রোফোন সংক্রান্ত বিস্তারিত লিংক নিচে দেওয়া হয়েছে।
লাইটিং কীটগুলো পল্টন, বায়তুল মোকাররম গেলেই পাওয়া যায়। এসব লাইটিং ইকুইপমেন্ট যেমন- সফট লাইটিং বক্স, রিফ্লেক্ট্রর, ডে-লাইট বাল্ব নিজস্ব স্টুডিও বা বসার ঘরে ভিডিও করার জন্য দরকার হয়। আপনি যদি ইনডোর ভিডিও শুট করেন তাহলে আপনাকে এই লাইটিং কীটগুলো ব্যবহার করতেই হবে। বিশেষ করে যারা শিক্ষকতা করেন তাদের বেশিরভাগ ভিডিওগুলো রাতেই শুট করতে হয় দিনের ডিউটির পর। আমি এমন অনেক ইউটিউবারকে জানি তারা বোর্ড, পাইপ, ভাঙ্গা ছাতা, কাঠী, সুতো দিয়েই লাইটিং কীট বানিয়েছেন। লাইটিং কীট ক্রয়-বিক্রয়ের বিস্তারিত লিংক নিচে দেওয়া হয়েছে।
ট্রাইপড বিভিন্ন দামের হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু একই সাথে সেলফী স্টিক, ট্রাইপড, ক্যামেরা স্ট্যান্ড হিসেবেও কাজ করে। মোতালেব প্লাজা, মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার, গুলিস্তান কমপ্লেক্সে গেলে দুই ধরণের ট্রাইপড পাওয়া যায়। গরিলা টাইপ এবং এলুমিনিয়াম টাইপ। তবে কেনার সময় খেয়াল করে মোবাইল মাউন্ট কীট আছে কিনা দেখে নিতে হবে। ট্রাইপড সংক্রান্ত বিস্তারিত লিংক নিচে দেওয়া হয়েছে।
মূলত ভিডিও এডিটিং এন্ড পাবলিশিং একটি বিশাল ইন্ডাস্ট্রী। YouTube আমাদের জেনারেশনের সামনে শুধু মোবাইল দিয়ে ভিডিও আপলোড এর সুবিধা করে দিয়েছে। হয়তো এ ধরণের প্ল্যাটফর্ম আরো আসবে। আগে যেখানে সার্চ করলে বাংলাদেশি একজন-দুজন এক্সপার্টদের চ্যানেল পাওয়া যেত, বর্তমানে সেখানে গান, টেকনোলজি, ফ্যাশন, এন্টারটেইনমেন্ট, ব্লগ, রিভিউ, ডকুমেন্টারি, টক শো সহ প্রায় সকল বিভাগেই বাংলাদেশী তরুণ মেন্টরদের সড়ব উপস্থিতি রয়েছে। কথা প্রসঙ্গে বলে রাখা প্রয়োজন উপরের বিস্তারিত বর্ণনার বাহিরেও আরও কিছু স্কিল থাকতে হবে ভিডিও তৈরী করতে গেলে। এত সময় ধরে ভিডিও করার পরে সেটা ভাল ইফেক্টের অভাবে গ্রহণযোগ্যতা যাতে হ্রাস না পায় সেজন্য এডোবি প্রিমিয়ার অথবা ফাইনাল কাট প্রো এর মতন এডিটরের কাজ শিখতে হবে। যারা গ্রুপের লেখা পড়ছেন তারা জানেন হাসান ভাই দেখিয়েছেন কিভাবে শুধু কিছু টুলস এর ব্যবহার করেই প্রফেশনাল মানের ভিডিও ইফেক্ট বানানো যায়। এছাড়াও পিসিতে Camstsia Studio সেটআপ দিয়ে হাই কোয়ালিটি পিসি রেকর্ড করা যায়। আরো কিছু সফটওয়ার যেমন- FastStone, Microsoft Expression Encoder ইউটিউবারদের কাছে সমান জনপ্রিয়।
https://www.youtube.com/watch?v=0hi4edxC2Ks
** Boya BY WM4 Wireless Microphone
https://www.youtube.com/watch?v=FhP2XQeDWNU
https://www.youtube.com/watch?v=teBYLiQJ2ns&list=PLnLnR5rT3cWRkO_sRnpSrNgM3hTDXv7DZ
https://www.youtube.com/watch?v=_3cpZqUo5qo
https://www.youtube.com/watch?v=E8YJvXp6hJo
https://www.youtube.com/watch?v=iCF6H_0qQuM&index=8&list=PLf3qsnGljClQvkMjzIOzdXA5XTsijwnpw
https://www.youtube.com/watch?v=UDtRm-oNrQE&list=PLf3qsnGljClQvkMjzIOzdXA5XTsijwnpw&index=10
মন্তব্য করুন
ফেইসবুক দিয়ে মন্তব্য