আজ আমরা কথা বলবো অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট নিয়ে। আমরা জানি অ্যান্ড্রয়েড হল বর্তমান যুগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। এটি গুগল দ্বারা পরিচালিত এবং সম্পূর্ণ ওপেন সোর্স একটি প্লাটফরম। এর জনপ্রিয়তার মূল কারন হল এটি সহজেই ব্যবহার যোগ্য এবং প্লে-স্টোর এ প্রচুর পরিমানে ফ্রি এবং পেইড অ্যাপস সহজেই পাওয়া যায়। এই প্লাটফরম এর জন্য অ্যাপস তৈরি করে রাতারাতি মিলিওনিয়ার হওয়ার গল্প অনেক আছে। যেমন: WhatsApp, Vibar, imo ইত্যাদি। আসুন এবার এর ডেভেলপমেন্ট প্রসেস নিয়ে একটু কথা বলি। অ্যান্ড্রয়েড মূলত Java প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর মাধ্যমে তৈরী, এবং ইন্টারফেস তৈরীর জন্য XML ব্যবহার করা হয়েছিল। মূলত একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরীর জন্য এই দুটি ল্যাংগুয়েজ জানাই যথেষ্ট। Google ডেভেলপার দের সুবিদার্থে Android Stadio নামক একটি IDE (Integrated Development Environment) তৈরী করেছে। এর মাধ্যমে খুব সহজেই Java I Xml ব্যবহার করে যে কোন ধরণের Android App তৈরী করা সম্ভব। এছাড়া Android App তৈরীর করার জন্য অন্যান্ন পদ্ধতি ও গ্রহন করা যেতে পারে যেমনঃ- Hybrid পদ্ধতি বা Webview পদ্ধতি, কিন্তু এই পদ্ধতিগুলো Native পদ্ধতির মতো সব ধরনের সুযোগ প্রদান করে থাকে না। যে কেউ Java I Xml এই দুই সহজ ও সাবলীল প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট এ ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। নিন্মোক্ত পদ্ধতিগুলো নতুন দের Follow করা উচিত।
অ্যাপস এর User Interface তৈরীর জন্য Google এর একটি সুন্দর সহজ গাইড লাইন আছে যার নাম হল Material Design, Google developer website এ গিয়ে খুব সহজেই শিখে নিতে পারেন এছাড়া বিভিন্ন ফ্রি ওয়েব সাইট থেকে Material icons ডাউনলোড করে আপনার অ্যাপ এর GUI(Graphical User Interface) ইউজার এর কাছে বেশি আকর্ষনীয় হবে।
ওপর গভীর নজর রাখা উচিত। তাই একজন ডেভেলপার হিসেবে প্রতিটি নতুন ফিচার, নতুন কোন অ্যাপস Idea এর জম্ম দিতে পারে।
Google প্রায়ই অ্যান্ড্রয়েড এর নতুন সংস্করন নতুন ফিচার এর সাথে রিলিজ করে থাকে এর
আপনার তৈরী অ্যাপস ব্যবহার করে ইউজাররা কি মন্তব্য করছে তা ভালো ভাবে বোঝা উচিত bug fix এর জন্য ও update এর জন্য ইউজারদের মন্তব্যে কোন Problem ধরা পড়লে তাৎক্ষনিক ভাবে সেটি fix করুন , কোন user কোন নতুন ফিচার এর জন্য আবেদন করলে সেটি add করতে পারেন, আপনার অক্যাউন্ট থেকে ইউজারদের প্রশ্নের উত্তর দ্রুত দেওয়ার চেষ্টা করুন, মনে রাখবেন যে কেউ কোন অ্যাপ ডাউনলোডের আগে তার রিভিউ দেখে।
যখন আপনি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করবেন তখন এর প্রতিটি অ্যাপস এর ইউজার Interface ও কার্যকালাপ Follow করুন, এতে করে আপনি নতুন কিছু শেখার আগ্রহ পাবেন এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করার সাথে সাথেই সেটিকে আপনার টু-ডু লিষ্ট এ যোগ করে ফেলুন, এরপর বিষয়টি ভালো ভাবে জানার চেষ্টা করুন।
অ্যান্ড্রয়েড অনেক ধরনের ডিভাইস যেমন, হাত ঘড়ি, গাড়ী, টিভি ও মোবাইল ডিভাইস এ চালিত হয়ে থাকে। প্রতিটি ডিভাইসে আপনার অ্যাপ যাতে চলতে পারে সেটা শিখুন।|
ইউজাররা সব সময় স্লো অ্যাপস থেকে দুরে থাকে তাই আপনার অ্যাপটি তৈরী করার সময় অপ্রোয়জনীয় মেমোরির জায়গা নেওয়া থেকে অ্যাপটিকে বিরত রাখুন। এবংGoogle এর এই বিষয়ে Guideline Follow করুন।|
ইউজার যখনই একটি অ্যাপস এর অপ্রোয়জনীয় অনেক পারমিশন নেওয়া দেখে তখনই সেটাকে মেলওয়্যার ভেবে নেয় এজন্য আপনার অ্যাপ যেন ইউজার এর কাছে এমন কোন পারমিশন না চায়,যেটা আপনার অ্যাপ এর দরকার নেই সেদিকে খেয়াল রাখুন এর নতুন সংস্করনে পারমিশন ইউজার এর কাছ থেকেই নেওয়া হয় তাই সাবধাণ
যে সকল ইউজাররা আপনার অ্যাপ ইউজ করে সর্বদা তাদের চাহিদার ওপর নজর রাখুন মনে রাখবেন আপনার অ্যাপের সফলতা হলে কত মানুষ আপনার অ্যাপটি ব্যবহার করছে সেটার ওপর, কতগুলো ডাউনলোড হইছে সেটার ওপর না, তাই চেষ্টা করুন ইউজার ধরে রাখতে।
প্রতিনিয়তো নতুন নতুন ফেরেমওর্য়্যাক আবিস্কার হচ্ছে এ গুলোর ওপর নজর রাখুন বর্তমান যুগে এসে আপনি যদি মনে করেন পুরো কাজটাই আপনি করবেন, তবে ভুল করছেন আমরা হলাম ব্যাস্ত প্রোগ্রামার ফেরেমওয়্যার্ক এর ব্যবহার আমাদের অনেক কাজ কমিয়ে দেয় তাই সর্বদা নতুন ফেরেমওয়্যার্কে নিজেকে ও আপনার কম্পিউটার কে Udate করান।
এই দুটি জিনিস প্রতিটি ডেভেলপার এর ভালো ভাবে বোঝা উচিত, Online এর Researeh করুন, এ গুলো নিয়ে কোন ফিচার যোগ করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, ফিচারটি কি স্যাট্যিক নাকি ডাইনামিক এর মাধ্যমে আপনি সহজেই ফিচারটির ভাল মন্দ দিকগুলো বুঝতে পারবেন |
এই পদ্ধতির মাধ্যমে সকল প্রকার Runtime Bugs আপনার চোখে ধরা পড়বে বিভিন্ন ডিভাইস এর বিভিন্ন ধরণের কনফিগারেশন থাকে তাই আপনার অ্যাপটির কোন ফিচার নিদ্রিষ্ট কোন ডিভাইস এ ঠিক মত কাজ না করলে ইউজার কে সমস্যা টি ডায়লগ বক্স এর মাধ্যমে দেখার ফলে আপানার অ্যাপ এর ওপর তার বিরূপ দৃষ্টি পড়বে না |
যেমনঃ-Espresso নিজে বসে বসে ডিবাগ করা অনেক সময় কষ্ট সাধ্য হয়ে যায় এবং বিরক্ত হয়ে অনেক সময় টুকিটাকি ভুল সহ আমরা অ্যাপ টিকে মার্কেটে ছেড়ে দেই এটি মটেও উচিত নয়, তাই ডিবাগ ও টেষ্ট জন্য ফেরেমওয়্যার্ক ব্যবহার করা উচিত |
যেমনঃ- Genimotion আগেই বলেছি আপনার অ্যাপটি সব ডিভাইসে ঠিকমত কাজ করবে কিনা বোঝার জন্য অনেক গুলো ডিভাইসে চালিয়ে দেখা উচিত, কিন্তু বিভিন্ন কনফিগ এর ডিভাইস কেনা ব্যায়বহুল তাই ভারর্চুুয়াল ডিভাইস ব্যবহার করুন
অনেক গুলো Ads service একত্রে ব্যবহার করবেন না এতে করে আপনার অ্যাপ এর ইমপ্রেরশন নষ্ট হবে ইউজারদের কাছে, কারন ইউজাররা অ্যাপটি ব্যবহার কালে Ads প্রদর্শিত হলে বিরক্ত বোধ করেন তাই এই বিষয়টি ভালো ভাবে বুঝে তারপর ads প্রদর্শন করান |
আপনি Android Studio তে যত বেশি সময় ব্যায় করবেন ততবেশি IDE টির সাথে পরিচিত হবেন যেটা আপনাকে একজন ভালো ডেভেলপার হিসেবে প্রতিষ্টিত করবে |
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
zahid reza
9 অক্টোবর, 2017 at05:07:20 অপরাহ্ন,
tutorial takle den……. ami sikte chai….
MARUF HASAN
8 এপ্রিল, 2018 at10:31:51 পূর্বাহ্ন,
very good. I wanted that & I want more Details about how to learn android app a good way.