আমার প্রথম ২ টা আর্টিকেল পরে যারা প্রচণ্ড ভাবে অনুপ্রানিত হয়েছেন তাদের কে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি সাহায্য করার। প্রথম পর্ব। দ্বিতীয় পর্ব। আসলে যেহেতু নিজে নিজে ডিজাইনার হবার চেষ্টা করছেন তাহলে কিছু কাটখড় পোড়াতে হবে এটাই স্বাভাবিক। কেও একদিনে তৈরি হইনা। একটা জিনিস হল কখন হতাশ না হওয়া। নিজের ওপর আস্থা রাখাটা খুব জরুরি। আপনার চারপাশে আপনি যেই মানুষ গুলো কে দেখছেন যারা কিনা বর্তমানে সফল ভাবে ডিজাইন টাকে তাদের জীবিকা হিসেবে নিয়েছেন, তারা কিন্তু কেউ এক দিনে তৈরি হননি। অনেক সময় এবং শ্রম লেগেছে তাদের এই পর্যায়ে আসতে।
আর যারা মোটামুটি ডিজাইনার হবার ব্যাপারে Decision নিয়ে ফেলেছেন তারা মতামত শেয়ার করতে পারেন।
তাহলে চলুন একটু পড়াশুনা করা যাক।
01. History of Design/Graphic design or History of ART.
ডিজাইন এর একটা ইতিহাস আছে। যুগ যুগ ধরে মানুষ কিভাবে আর্ট এর চর্চা করেছে এবং কোন সময়, কোন ধরনের DESIGN MOVEMENT হয়েছে সেই সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। কেননা ডিজাইন এর কিছু স্টাইল আছে। সেগুলো চিনতে হবে। যেমন ধরুন, POP ART or POP Style Design. POP আর্ট বা ডিজাইন এর নির্দিষ্ট একটা স্টাইল আছে। পপ আর্ট একটা নির্দিষ্ট সময় চর্চা হত। বর্তমানেও চর্চা হয়। কিন্তু সেটাতে আধুনিকতার একটা ছোঁওয়া থাকে। ভাল ডিজাইনাররা চর্চা বা চিন্তার মাধ্যমে 50-60 বছর আগের পপ আর্ট এর সাথে বর্তমান ডিজাইন এর একটা combination করে ডিজাইন করে থাকেন। পপ আর্ট এর মত আরও অনেক আর্ট এর স্টাইল/ মুভমেন্ট আছে। যেমন – Minimal Style বা Minimalism, Swiss Style Graphic Design, Dada Movement/ Dadaism, Futurism, Modernism, Cubism, Art Deco, Bauhus ইত্যাদি। আরও অনেক আছে। তবে আমার জানা মতে গ্রাফিক ডিজাইন এ সব পরানো হয়না। খুব বেশি গুরুত্ব পূর্ণ গুলো কেবল পড়ান হয় যেগুলো না জানলেই নয়। তবে কার ও আগ্রহ থাকে তাহলে ইন্টারনেট এ খুজে পড়ে নিতে পারেন। তবে হে, সব স্টাইল/ মুভমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত না জানলেও চলে। গুগল ইমেজ এ গিয়া একটা topics লিখে search দিন। ছবি দেখতে পারবেন ঐ রিলেটেড। খালি স্টাইল গুলর সাথে পরিচিত হন। এক দিনে হবেনা। অনেক দিন ধরে আস্তে আস্তে চেষ্টা করে যেতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার মধ্যে কনসেপ্ট গুলো পরিস্কার হচ্ছে।
ডিজাইন এর স্টাইল গুলো ভাল ভাবে লক্ষ্য করুন। তারপর কোন একটা স্টাইল নিজের ডিজাইন এ প্রয়োগ করুন। এই ভাবে করতে করতে দেখবেন আপনার নিজের ভিতরে জিনিস গুলো আসতে আসতে কাজ করতে শুরু করেছে।
লিঙ্ক শেয়ার করছি। যারা আগ্রহী নাড়াচাড়া করে দেখতে পারেন –
——- A Complete List of Art Movement
——- Art movement in Graphic Design
—— 20 things you dont know about Pop Art & Graphic Design
—— Great art movements that inspire modern web designer.
Image1:Example of POP ART
Image2: Example of ART DECO
Image3:Example of BAUHAUS
Image5:Example of CUBISM
Image6:Example of DADISM
Image7:Example of Swiss Style Design
আরও অনেক স্টাইল আছে। আপনার দরকার হলে গুগল এ সার্চ দিন। আগে সার্চ দিন একটা আর্ট মুভমেেন্টর কমপ্লিট লিস্ট এর জন্য। তাহলে আশা করি সব খুজে পাবেন।
——————————————————————————————————————————————————————————————————————————
02. Color Theory
ডিজাইনার হবার জন্য কালার সম্পর্কে সঠিক ধারনা থাকতে হবে। কালার এর মাধ্যমে অনেক ধরনের অনুভুতি প্রকাশ করা যায়। প্রতি টা কালার এর একটা নিজস্ব feel 0r meaning থাকে। যেমন – উষ্ণ (Hot) কালার কি, শীতল (Cold) কালার কি, নিরপেক্ষ (Neutral) কালার কি ইত্যাদি হল কালার থেওরির আলোচ্য বিষয়। এছাড়া ওয়েব মিডিয়া তে কি কালার বা প্রিন্ট মিডিয়া তেই বা কি কালার ব্যাবহার করা হয়, তাও আলোচনা হয় কালার থিওরি তে।
আসলে কালার ডিজাইন এর এত বড় জায়গা দখল করে আছে যে, যার গুরুত্ব বলে শেষ করা অনেক কঠিন। কিছু বেসিক Composition এর rules আর ভাল ভাবে কালার ব্যাবহার করতে জানলে অনেক ভাল ভাল ডিজাইন করা সম্ভব। আপনারা যদি আমার দেওয়া Resource গুলো একটু নাড়াচাড়া করেন তাহলে কালার থিওরিতে COLOR WHEEL পাবেন। তারপর দেখবেন কিভাবে ডিজিটাল দুনিয়ায় কালার হুইল এর মাধ্যমে, অগণিত কালার শেড তৈরি করা হয়। কালার হুইল মুলত রংধনুর কালার গুল+ এই কালার গুলোর শেড দিয়ে তৈরি। আপনি সূর্যের আলোর ৭ টি কালার এবং Shade গুলোর mixture পাবেন।
যেহেতু আপনার ডিজাইন সম্পরকে আগ্রহ অনেক বেসি তাই আমি ধরে নেব আপনার কালার SENSE আছে কিছুতা হলে ও। আসলে আমরা কম বেশি সবাই আমাদের প্রতিদিন কার জীবনে কালার নিয়ে মাথা ঘামাই। মিটিং এ যাচ্ছেন, কোন কালার এর শার্ট এর সাথে কোন কালার এর টাই পরবেন একটু চিন্তার বিষয়। আর মেয়েরা হলে ত কথাই নেই। ড্রেস এর কালার match করানো নিত্ত নৈমিত্তিক ব্যাপার।
তবে আমি আপনাদের জন্য জিনিস টা সহজ করে দিচ্ছি। আপনাকে ২ টা জিনিস প্রধানত জানতেই হবে। কোন কালার কি ধরনের ফীলিং দেয় আর কোন কালার এর সাথে কোন কালার ম্যাচ করে। এই ২ টা sense নিজের মদ্ধে Grow করাতে পারলে কেল্লা ফতে।
কিছু অনলাইন tools আছে কালার এর। আপনি সহজেই একটা ডিজাইন এর জন্য কালার চার্ট ঠিক করতে পারেন। বা আপনি যদি একটা নির্দিষ্ট কালার এর সাথে অন্য যেই কোন কালার Match করাতে চান তাহলে ও এই tools গুলো কাজে আসবে।
আরও অনেক আছে। কিন্তু আমি আবার ও বলছি, Color Combination এর জন্য এই টুলস গুলো আপনি তখনি ব্যাবহার করে মজা পাবেন যদি Color Wheel টা ভালোভাবে বুঝেন। তাই আমার মতে আগে থিউরি টা একটু পরে নিন তারপর COLOR Schemer নিয়ে খেলা করেন।
থিউরি এর জন্য লিঙ্ক শেয়ার করছি। যারা আগ্রহী নাড়াচাড়া করে দেখতে পারেন –
—— Color Theory for designers
—— A-look-into-color-theory-in-web-design
—— An-introduction-to-color-theory-for-web-designers
Practice:
যারা সুধু নিজে নিজে ডিজাইনার হবার চেষ্টায় আছেন তারা, রোজ কমপক্ষে ২ ঘণ্টা সময় ডিজাইন নিয়ে পড়বেন আর বাকিটা সময় ডিজাইন practice করবেন। সব থেকে সহজ উপায় হল BROWSE করা। হাজার হাজার ডিজাইন গ্যালারী আছে অনলাইনে। দেখতে থাকুন। অনেক ভাল ভাল ডিজাইন রোজ রোজ দেখতে হবে। না হলে চোখ পাকবে না। ডিজাইনার হিসিবে চোখ টা পাকানো খুব জরুরি। যত ভাল ভাল ডিজাইন দেখবেন, ততই আপনার মদ্ধে বিক্রিয়া ঘটতে থাকবে। ভাল ডিজাইন গুলো Analysis করেন। যদি আপনার কোন ডিজাইন ভাল লেগে থাকে, তাহলে মনে মনে একবার ভাবুন, কেন ভাল লাগলো এই ডিজাইন? কি আছে এতে? কোন component টা আপনার সবার আগে নজরে পড়ল?
প্রাকটিস করার আরও একটা।উপায় হচ্ছে নিজে নিজে প্রোজেক্ট বানানো। অমুক কম্পানির জন্য লোগো, বা তমুক কোম্পানির জন্য Flyer ইত্যাদি। ডিজাইন করা শেষ হলে আপনার করা ডিজাইন টা শেয়ার করুন আপনার ডিজাইনার বন্ধুদের সাথে।্ পরিচিত কেও না থাকলে Distorted Designers এ যোগ দিন। এই খানে সবাই ডিজাইনার। আপনার ডিজাইন এর ফ্রী ফিডব্যাক পেয়ে যাবেন। আমি আগেও বলেছি, ডিজাইন সেখার একটা অন্যতম রাস্তা হল নিজের করা ডিজাইন গুলো কোন ফোরাম এ শেয়ার করা।
এলিন
23 ডিসেম্বর, 2013 at07:25:29 অপরাহ্ন,
সুন্দর লিখেছেন।