যেকোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কিংবা স্টার্টআপের জন্য বিজনেস কার্ড একটি অত্যাবশ্যকীয় অংশ। এটি যেকোনো প্রতিষ্ঠানের পরিচয় ও মূল তথ্য তুলে ধরতে সাহায্য করে। একটি আকর্ষণীয় বিজনেস কার্ড সবার মন আকর্ষণ করে। আজ আমরা ধাপে ধাপে কিভাবে একটি বিজনেস কার্ড তৈরি করবেন তা নিয়ে আলোচনা করবো।
ধাপ ১ঃ
প্রথমে স্ট্যান্ডার্ড বিজনেস কার্ডের মাপ অনুযায়ী width 3.5 inch, height 2 inch এর একটি নতুন ডকুমেন্ট নেই। bleed 0.125 inch এবং color mode CMYK করে দেই। এরপর ok প্রেস করি।
ধাপ ২ঃ
tools থেকে rectangle tools টি সিলেক্ট করে bleed point এর যেখানে কার্সর রাখলে intersect দেখায় সেখান থেকে শুরু করে শেষ মাথা পর্যন্ত drag করে একটি rectangle আঁকি।
ধাপ ৩ঃ
এবার এই rectangle এর কালার পরিবর্তন করে নেই। এক্ষেত্রে আমরা যেহেতু CMYK কালার মুড ব্যবহার করছি সেহেতু আমরা এখানে CMYK এর কালার রেঞ্জ ঠিক করে নেই। এক্ষেত্রে আমরা C=77%, M=60%, Y= 70% এবং k=45% করে দিয়েছি।
ধাপ ৪ঃ
এই ধাপে আমরা একটি world map এর .svg file ডাউনলোড করে সেটা আমাদের ডকুমেন্টসের উপর বসাই। এরপর এটির কালার adjust করে নেই। এক্ষেত্রে আমরা C= 77%, M=60%, Y=60% এবং K=45% করে দিয়েছি।
ধাপ ৫ঃ
এবার rectangle tools দিয়ে একটি rectangle এঁকেছি। এরপর edit > paste in front করে rectangle টি কপি করে বসাই। এরপর সবগুলো rectangle সিলেক্ট করে সেগুলোকে shift চেপে drag করে ছবি অনুযায়ী সেট করি।
ধাপ ৬ঃ
এই ধাপে চিহ্নিত অংশ দুইটির কালার ঠিক করে নেই। এক্ষেত্রে C=20%, M=0%, Y=12%, K=80% করে দেই।
ধাপ ৭ঃ
এবার Direct selection tool দিয়ে পয়েন্টগুলো সিলেক্ট করে arrow key চেপে চিহ্নিত rectangle টি উপরের দিকে উঠাই। এরপর এই অংশটুকু select করে copy করে flip করে দেই। এরপর color range ঠিক করে দিয়ে অপর অংশের shadow কে highlight করে দেই।
ধাপ ৮ঃ
এবার সবগুলো অংশ সিলেক্ট করে group করে দেই।
ধাপ ৯ঃ
এবার আরেকটি rectangle নেই। এটির gaussian blur এর radius 20.6 pixels সেট করে ok ক্লিক করি।
ধাপ ১০ঃ
এই ধাপে mouse এর right বাটন ক্লিক করে arrange > send to back করে দেই।
ধাপ ১১ঃ
এবার একটি লোগো নিয়ে চিহ্নিত অংশে সেট করে নেই। লোগোটি ঠিকমতো রিসাইজ করতে alt+shift চেপে নেই।
ধাপ ১২ঃ
এরপর text tools diye যেকোনো একটি ব্র্যান্ড লোগোর নাম ও ট্যাগ সেট করে দেই।
ধাপ ১৩ঃ
অপর অংশে কোম্পানির সার্ভিস সম্পর্কে টেক্সট দেই। এরপর নিচের অংশে দুটি rectangle এঁকে এদের কালার set করে দেই।
ধাপ ১৪ঃ
এবার ফ্ল্যাটআইকন থেকে মেইল, ঠিকানা ও ফোন নাম্বারের জন্য তিনটি .svg file ডাউনলোড করে বসাই।
ধাপ ১৫ঃ
আইকনগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে rounded rectangle সেট করে নেই।
ধাপ ১৬ঃ
আর এভাবেই ধাপে ধাপে খুব সহজে আমাদের বিজনেস কার্ডটি এখন তৈরি!
এই প্রজেক্টটি আরও ভালোভাবে বুঝতে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন।
Shah alam
13 জুন, 2023 at05:01:31 পূর্বাহ্ন,
Very good
হাসান যোবায়ের
13 জুন, 2023 at12:07:22 অপরাহ্ন,
প্রযুক্তি টিমের সাথেই থাকুন সব সময়।